বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার EUR/USD পেয়ারের মতোই GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং এই প্রচেষ্টা হতাশাজনকভাবে শেষ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ইউরোর তুলনায় পাউন্ড স্টার্লিংকে বেশি প্রভাবিত করেছে। তবে, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি সম্পর্কে ট্রেডারদের দৃষ্টিভঙ্গিকে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করেনি।
যুক্তরাজ্যে, মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে ২০২৫ সালে মূল সুদের হার দ্রুত এবং আক্রমণাত্মকভাবে কমানোর সুযোগ প্রদান করেছে। এর বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ফেডকে বর্তমান নীতিমালা বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে। আগে, ট্রেডাররা যুক্তরাজ্যে ১% এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ০.৫% সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করেছিল। এখন, যুক্তরাজ্যে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা হ্রাস পেয়েছে। ফলস্বরূপ, মার্কিন ডলারের শক্তিশালী হওয়ার জন্য অতিরিক্ত কারণ তৈরি হয়েছে, যা মার্কেটে স্পষ্টভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে শক্তিশালী করেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, বুধবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল। 1.2164–1.2170 রেঞ্জের কাছাকাছি প্রথম বাই সিগনাল থেকে প্রায় ৩০ পিপস লাভ করা গেছে। 1.2235 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত সেল সিগনাল সম্ভবত ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরে দুটি বাই সিগনাল গঠিত হয়েছিল; তবে, এগুলো এড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতো, কারণ দিনের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। শেষ দুটি বাই সিগনাল কার্যকর ছিল, কারণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন মূলত পুনরায় এই পেয়ারের দরপতনের ইঙ্গিত দিয়েছে, ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের নয়।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করে চলেছে, যেখানে পাউন্ডের মূল্য প্রায় প্রতিদিনই কমছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা 1.1800 লেভেলের দিকে অব্যাহত দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তাই সবসময় টেকনিক্যাল সিগনালের উপর নির্ভর করে আরও দরপতনের প্রত্যাশা বজায় রাখা উচিত।
বৃহস্পতিবার, তুলনামূলকভাবে শান্তভাবে GBP/USD পেয়ার ট্রেড করা হতে পারে; তবে, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামার আশা করা যায়।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2235, 1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য মাসিক জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হয় না, তবে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেও খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।